বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

সিনহা হত্যা : দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা : দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

‍স্বদেশ ডেস্ক:

আলোচিত মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে। এদিন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়াকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতসহ তিন আসামির পক্ষের আইনজীবীগণ জেরা করছে। এর আগে গতকাল সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন শুধু বাদী শারমিন শাহরিয়ারের সাক্ষ্যগ্রহণ ও ১২ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শারমিন শাহরিয়ারের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করে অপর পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। আগামীকাল বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

এদিকে, সিনহা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রূল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877